শেয়ার মার্কেট কি ? কিভাবে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করবেন ?

শেয়ার মার্কেট হল একটি বিতরণ বাজার যেখানে শেয়ার বা সংস্থার শেয়ার কেনা ও বিক্রয় করা হয়। শেয়ার মার্কেট একটি প্রায় সমস্ত দেশে রয়েছে এবং এটি সম্পদের বিনিময় বাজারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শেয়ার মার্কেটে সম্পদ ক্রয় করার জন্য সাধারণ জনগন, ব্যবসাপী, বিনিয়োগকারী এবং ব্যাংক প্রতিষ্ঠান থাকেন।



শেয়ার মার্কেটে সংস্থার শেয়ার কেনা ও বিক্রয় করা হয় প্রাথমিক ও দ্বিতীয় বাজার বিন্যাসের মাধ্যমে। প্রাথমিক বাজারে সংস্থা নতুন শেয়ার প্রকাশ করে আমন্ত্রণ জারি করে এবং সে শেয়ারগুলি বিনিময় করে। দ্বিতীয় বাজারে পুরানো শেয়ারগুলি বিনিময় করা হয়। শেয়ার মার্কেট সম্পর্কিত তথ্য, মূল্য, এক্সচেঞ্জ রেট এবং অন্যান্য তথ্য বিনিময় হয় যাতে আপনারা অর্থ বিনিয়োগ করে ডবল করতে পারবেন।নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার 

 আপনি যদি শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে জানতে চান ও সেখানে টাকা বিনিয়োগ করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আপনারা পড়ুন এতে আমরা শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে জানবেন ও কিভাবে এখানে অর্থ বিনিয়োগ করে অর্থ উপার্জন করবেন জানতে পারবেন সমস্ত কিছু বিস্তারিত।

 শেয়ার মার্কেট কি ?

শেয়ার মার্কেট / Share Market: শেয়ার নাম শুনেই আপনারা বুঝতে পারছেন বিনিয়োগ বাজার এই মার্কেটে আপনারা শেয়ার কেনা ও বেচা করতে পারবেন। এটা এমন একটি মাধ্যম যেখানে আপনারা অল্প সময়ে বিনিয়োগ করে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন অর্থাৎ অল্প সময়ের মধ্যে টাকা ডাবল করতে পারবেন। এছাড়া আপনি যদি অসাবধান ভাবে এতে না বুঝে টাকা লাগিয়ে দেন তাহলে আপনার ক্ষতিও হতে পারে।

আসলে স্টক মার্কেট বা শেয়ার মার্কেট এ দুটোই টাকা ইনকাম করার সঙ্গে যুক্ত আপনারা বড় বড় কোম্পানির শেয়ার কিনবেন এবং সময় মত লাভ বুঝে আপনারা সেটাকে বিক্রয় করতে পারবেন।

শেয়ার মার্কেট / Share Market: এটা এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনারা বড় বড় কোম্পানির কাছ থেকে তাদের বিতরণ করা শেয়ার কিনতে পারবেন সেখানে টাকা লাগাতে পারবেন এবার কোম্পানি যদি আপনার সেই বিনিয়োগ করার টাকা থেকে লাভবান হয় তাহলে আপনাকে আপনার শেয়ারের টাকা ডবল করে দিতে পারে। তবে সময় বুঝে আপনি যখন দেখবেন আপনার চেয়ে একটা ডবল হয়ে যাচ্ছে তখন আপনাকে শেয়ারটা তুলে নিতে হবে কিংবা অন্যকে বিক্রয় করে দিতে হবে।

শেয়ার আপনারা কি ভাবে কিনবেন ?

আপনারা অনলাইনে এমন অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে যেখান থেকে আপনারা বাড়িতে বসেই শেয়ার কিনতে পারবেন এমন অনেক বড় বড় কোম্পানি রয়েছে যেখান থেকে আপনারা অনলাইনে বাড়িতে বসে চেয়ার কিনতে পারেন এবং অনলাইন থেকে আপনারা দেখে নিতে পারেন আপনার লভ্যাংশ কত পরিমান হয়ে গিয়েছে "শেয়ার বাজার শিখতে চাই"। যে সমস্ত কোম্পানিগুলি তাদের শেয়ার বিতরণ করে - Tata Company, Birla, Reliance, Mathur, Bajaj, এই সমস্ত কোম্পানির যদি আপনি ১০০০০ টাকায় তাদের চেয়ার কিনেছেন এবং কিছুদিন পরে দেখা গেল আপনার সেই লাভংশ এসে দাঁড়িয়েছে ২০০০০ হাজার টাকা তাহলে আপনি কিন্তু আপনার চেয়ারের ওপর দশ হাজার টাকা লাভ করে ফেলেছে। এবার আপনি যদি ভাবেন সেটাকে বিক্রয় না করে কিছুদিন রেখে দিয়ে আরো ডবল করে সেটাকে বিক্রয় করবেন সেটাও আপনি করতে পারবেন।

শেয়ার মার্কেট থেকে শেয়ার কখন কিনবেন ?

 তো বন্ধুরা আশা করি এবার আপনারা শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন তো শেয়ার আপনার এবার কখন কিনবেন সে সম্পর্কে একটা ধারণা দিচ্ছি - শেয়ার মার্কেট থেকে শেয়ার কেনার আগে আগে আপনাকে শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে কখন শেয়ার কিনলে আপনার লাভ হবে এবং কিভাবে শেয়ার টাকে বিক্রয় করবেন। শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে যদি একটু আপনার ধারণা থাকে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন কখন শেয়ার কিনলে আপনার লাভ হবে আর কখন শেয়ার আপনাকে বিতরণ করতে হবে বা বিক্রি করতে হবে।

  • শেয়ার কিনতে হয় যখন আপনি আপনার বিনিময় পরিচালনার জন্য একটি উপযুক্ত সময় মনে করেন এবং আপনি আপনার বাজেট এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যগুলির সাথে সম্পদ বিনিময়ে নির্ধারিত রকম শেয়ার খুঁজে পান। শেয়ার কিনার সময় বিনিময় মূল্য নির্ধারণ করা হয় এবং এটি আপনার বাজেটের সাথে মেলে যাচ্ছে কিনা সেটি নির্ধারিত করা হয়। আপনি শেয়ার কিনার সময় পর্যালোচনা করতে পারেন সংস্থার বর্তমান কার্যক্রম, তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়ন এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনা এবং সাম্প্রতিক মূল্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা এবং সাধারণ আর্থিক পরিস্থিতি। এছাড়াও, আপনি নির্ধারিত বিনিময় সাম্প্রতিক মূল্য এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে পারেন। শেয়ার কিনার সময় আপনার সম্ভাবনা বা আশা অনুযায়ী নিবেদন করা উচিত
  • শেয়ার কিনে লাভ হবে এটি কখনও নিশ্চিত নয় কারণ শেয়ার মার্কেট স্বাভাবিকভাবেই পরিবর্তনশীল এবং প্রতিদিন স্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটে। শেয়ার ক্রয়ে লাভ করার সম্ভাবনা শুধু শেয়ার মূল্য বাড়ানোর উপর নির্ভর করে নয়, কারণ সংস্থা এবং বাজারের পরিবর্তনশীলতা এবং সাম্প্রতিক ঘটনার পরিবর্তে বিভিন্ন উপায়ে লাভ হতে পারেন।
  • শেয়ার মার্কেটে নিয়মিত নির্ধারিত হিসাবে মূল্য পরিবর্তন হওয়া হয় এবং শেয়ার মূল্য উচ্চ হতে পারে এবং নিম্ন হতে পারে। এছাড়াও, বিনিময় করা শেয়ারের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আরও উপায় আছে লাভ করার। যেমন, সম্ভাব্যতা থাকে যে প্রতিষ্ঠান লাভজনক প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে অথবা বিতরণশীল মূলধনের উপর দ্বিতীয় আংশিক বিনিময়ে থাকে।

শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্ট জেনেনিন ?

শেয়ার মার্কেট বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক বাজারগুলির একটি। কোম্পানিগুলি এখানে শেয়ার বিক্রয় করে তাদের মূলধন উদ্বৃত্ত করতে পারে এবং ব্যক্তিরা এখানে শেয়ার কিনে আয় করতে পারেন। শেয়ার মার্কেটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিম্নলিখিতঃ
  1. সম্পদের বিনিময়: শেয়ার মার্কেট হল একটি বিনিময় বাজার, যেখানে শেয়ার বিক্রয় হয় এবং তার বিপরীতে অর্থ প্রদান হয়। শেয়ার মার্কেট থেকে কেনা এবং বিক্রয় করা হলে ব্যক্তির সম্পদের বিনিময় হয়।
  2. আর্থিক উন্নয়ন: শেয়ার মার্কেটে নিবেশকরা তাদের টাকা নিয়ে কোম্পানি গুলির শেয়ার ক্রয় করে তাদের মূলধন উন্নয়ন করতে পারেন। কোম্পানি গুলির মূলধন উন্নয়নে মানব উন্নয়ন, প্রযুক্তি উন্নয়ন পড়ে থাকে আপনার আর্থিক লেনদেন সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে সতেজ রেখে।
কোন কোন দিকগুলি লক্ষ্য করে শেয়ার কিনলে লাভবান হওয়া যায় ?
শেয়ার কিনার সময় লাভবান হওয়া সম্ভব যে কোম্পানি প্রযুক্তিগত, আর্থিক এবং ব্যাবসায়িক দিক থেকে উন্নয়নশীল এবং দক্ষ হয়। নিম্নলিখিতগুলি হল কোন কোম্পানিগুলি যেখানে শেয়ার কিনলে লাভবান হওয়া সম্ভবঃ
  • প্রযুক্তিগত সেক্টর: প্রযুক্তিগত সেক্টর এখন বেশ উন্নয়নশীল এবং তার জন্য আশারোগ ক্ষেত্র রয়েছে। এই ক্ষেত্রে একটি কোম্পানি যেমন আপপ্ল বা ফেসবুক এখন অনেক জনপ্রিয় এবং উন্নয়নশীল এবং এর শেয়ার মার্কেট মূল্য উন্নয়নের জন্য আরও উচ্চ হতে পারে।
  • কোম্পানির উন্নয়নশীলতা: একটি কোম্পানি যদি উন্নয়নশীল এবং দক্ষ হয় এবং নিয়মিতভাবে তাদের কাজের উত্পাদন এবং বিক্রয় বাড়ায় তাহলে সে বাজারে উন্নয়নের লক্ষ্যে উচ্চ মূল্যে নির্ধারণ করে।
 শেয়ার মার্কেটে কিভাবে টাকা লাগাবেন ?
 শেয়ার মার্কেটে অর্থ বিনিয়োগ করতে গেলে আপনাকে প্রথমে অনলাইনে একটা Demat Account তৈরি করে নিতে হবে তারপর আপনাকে সেই সমস্ত ব্লোকার অর্থাৎ শেয়ার মার্কেট থেকে শেয়ার কেনাবেচা করে তাদের কাছ থেকে আপনি Demat Acount খুলতে পারেন।
Demat Account: ডিমাট অ্যাকাউন্ট হলো ব্যাংকের মতোই এমন একটি অ্যাকাউন্ট যেখানে আমরা মোটা অংকের টাকা গচ্ছিত করে রেখে দিতে পারি (শেয়ার বাজারে একাউন্ট)। আপনাকে শেয়ার বেচতে এবং কিনতে গেলে এই একাউন্ট থেকেই ব্যবহার করতে হবে। কোন কোম্পানিতে শেয়ার কেনা বা ব্যাথা করতে গেলে আপনার যে অংশটুকু লাভ হবে সেই লভ ভাঙসে টাকা আপনার এই ডিমাট অ্যাকাউন্টেই চলে আসবে। Demat Account এর সাথে আপনার ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করা থাকে তাই আপনি চাইলে যখন তখন আপনি এই লাভ বংশের টাকা আপনি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তুলে নিতে পারবেন।

Demat Account তৈরি করতে গেলে কি কি ডকুমেন্টস লাগে ?
 যেহেতু শেয়ার মার্কেটের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হলো Demat Account তাই এই অ্যাকাউন্টটি তৈরি করতে গেলে আপনাদেরকে নিচের বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন পড়বে -
  1. Pan Card (Parmanant Account Number )
  2. Aadhar Card (ঠিকানা প্রমান পত্র )
  3. Bank Account
 ভারতবর্ষের থেকে এমন অনেক বেশি কিছু নামিদামি কোম্পানি রয়েছে যেখান থেকে আপনি শেয়ার কিনতে পারবেন। সব থেকে বেশি পরিমাণে যে কোম্পানিটি চলে এবং সবচেয়ে বেশি পুরাতন যে কোম্পানিটি সেটি হচ্ছে "National Stock Exchange" / Bombay Stock Exchange " এগুলিতে নিশ্চিন্তে নির্ভয় আপনি শেয়ার কিনতেও দেখতে পারবেন।

Suppor Lavel কি ? What is Suppor Lavel?
 শেয়ার মার্কেটে কোন কোম্পানি কতটা নেমে যেতে পারে এটাকে সাপোর্ট লেভেল বলা হয় আর এই সাপোর্ট লেবেলটি তৈরি করা হয় ক্রেতার ওপর নির্ভর করে অর্থাৎ ক্রেতা সুরক্ষা বিভাগ থেকে। সাপোর্ট লেভেল কে নির্দিষ্ট সময় বিধির মধ্যে নির্ধারণ করা হয় আপনি যদি এই রীতি মেনে চলেন তবে সর্বোচ্চ নিচের দিকে লক্ষ্য করে শেয়ার মার্কেটে এটাকে সাপোর্ট Label বলে।

Resistance Lavel কি ? রেসিস্টেন্স লেভেল কি 
 কোন স্টক মার্কেটের এমন একটি উচ্চশীমা যেখানে গিয়ে বিক্রেতারা তারা নিজের লাভ বংশের শেয়ারটুকু বিক্রয় করতে পারবেন এটা সম্পূর্ণ টাকার এক শ্রেণীর উপর নির্ভর করে থাকে। এটা টেকনিক্যাল বিষয়গুলি কে  গুরুত্ব দিয়ে থাকে। যেমন এডভার্টাইজমেন্ট স্পন্সারসিভ, মুভি এই সমস্ত দিকগুলি কে মেনটেনেন্স করাই কাজ হল Resistance লাভেলের।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

GP Global