হনুমানজি ও শিবের লড়াই কখন হয়েছিল ?
আমরা সকলেই জানি হনুমানজি ও মহাদেব দুজনেই একই রূপ | কিন্তু ক্রেতা যুগে যখন রাম ও রাবণের যুদ্ধ শেষ হলো তারপরেই কেন হনুমানজি ও মহাদেবের যুদ্ধ লেগেছিল ? কে জিতেছিল সেই যুদ্ধে ? হনুমানজির যুদ্ধ কেন লেগেছিল ? সম্পূর্ণ ডিটেইলসে আমরা আলোচনা করব আজকের এই প্রবন্ধটিতে |
হনুমানজি ও মহাদেবের লড়াই ক্রেতা যুগের রামায়ণের পরেই শুরু হয়েছিল | যুদ্ধ শেষ করে যখন রাম অযোধ্যায় ফিরে এসেছিলেন তখন তিনি অস্তমের যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন তার রাজসভায় নিয়ম ছিল যোগ্য শেষে অবাধে ঐ অশ্ব ঘড়াটিকে ঘোরাফেরা করানো | সেই নিয়ম আবারে ঘোড়াটিকে অবাধে চলাফেরা করার জন্য ছেড়া দেওয়া হয়েছিল সেই ঘোড়ার পিছনে ছিল যোগ্যকার রাজার সেনা এই ঘোড়াটি যখন দ্বিগবিজয় যাত্রায় যেত তখন স্থানীয় লোকজন এই ঘোড়াটির প্রত্যাবর্তনের জন্য লক্ষ্য করত | কোনক্রমে যদি এই ঘোড়াটি হারিয়ে যেত তবে অন্য ঘোড়ারটির সাথে আবার এই যোগ্যবিধি করা হতো | আবার অন্য কোন রাজ্যের রাজা যদি এই ঘোড়াটিকে থামিয়ে দিত বা চুরি করে নিত তবে সেই রাজাটির সাথে যুদ্ধ পর্যন্ত হয়ে যেত | হনুমানজি ও শিবের লড়াই কখন হয়েছিল ?
ঠিক একইবার যখন ব্লক ও কুশ অশ্বমেধ এই যজ্ঞের রাজার ঘোড়া থামিয়ে শ্রী রাম জি কে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এর ফলে পরে হনুমানজিকে সেখানে প্রেরণ করা হয়েছিল লব কুশের সাথে যুদ্ধের সময় হনুমানজি বুঝে নিয়েছিল এই বালক দুটি শ্রী রামঝির বংশধর এদের সাথে যুদ্ধ মানে শ্রী রামঝির সাথে যুদ্ধ করার সমান হবে এবং শ্রীরামজির মনে কষ্ট হবে তাই সেই সময় হনুমানজি লব কুশের হাতে বন্দি হয়েছিলেন | হনুমানজি ও শিবের লড়াই কখন হয়েছিল ?
হনুমানজি ও শিবের লড়াই কখন হয়েছিল ?হনুমানজি ও শিবের লড়াই কখন হয়েছিল ?
এরপর লক্ষণ দুই ভাই প্রমুখ যুদ্ধের সম্মুখীন হয়েছিলেন এবং তারা বন্দী ও হয়েছিলেন এরপর রান এসে সেখানে বন্দিদের বন্দী মুক্ত করেছিলেন সমস্ত বাধা বিভিন্ন দূর করে | সেই একই ভাবে এই যজ্ঞের ঘোড়াটিও দিক ভুলে পৌঁছে গিয়েছিলেন এমন এক অঞ্চলে যেখানকার রাজা ছিল রাজা বীর্মনির পুত্র রুকমনি তিনি ছিলেন পরম শিব ভক্ত এবং মহাদেবের বরপ্রাপ্ত তিনি এই রামের ঘোড়াটিকে বন্দী করে রেখেছিলেন সে কারণেই দিকপুর এবং অযোধ্যার সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ হওয়া বাধ্য ছিল | বীরমনি শুনলেন রামের ভাতা লক্ষণ তার সেনাবাহিনী নিয়ে খরপুশ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিলেন তখন তিনি তার সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান কে রিপু নূর কে তার সেনাবাহিনী নিয়ে যুদ্ধের তৈরীর জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন তারপর বীরপুত্র বীর মনি এবং তার ভাতা বীর মনি সকলে মিলে সেই যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হয়েছিলেন | এক ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হয়েছিল সেই সময় | আর সেই যুদ্ধে হনুমানজি সকলকে পরাজিত করেছিলেন | যুদ্ধের শেষে হনুমান বীর মনিকে অজ্ঞান করে দিয়েছিলেন সেই বীরমণি ছিলেন শিবের পরম ভক্ত এবং তিনি ছিলেন একজন বড় প্রাপ্ত আর তিনি এই সমস্ত বর পেয়েছিলেন মহাদেবের কাছ থেকে যে কখনো কোন সাহায্যের প্রয়োজন হলে বীর মনির ডাকে মহাদেব প্রকট হবে | সেই সময় দুই পক্ষে ভয়ানক যুদ্ধ আরম্ভ হয়েছিল সবকিছু তছনছ হয়ে গিয়েছিল সে যুদ্ধে তখন সেই সময় হনুমানজি, প্রচন্ড ক্ষেপে গিয়ে সেনাবাহিনীর মনোবল বাড়িয়ে শিবের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন | হনুমানজি ও শিবের লড়াই কখন হয়েছিল ?
হনুমানজি ও শিবের লড়াই কখন হয়েছিল ?হনুমানজি ও শিবের লড়াই কখন হয়েছিল ?
তখনই শিব এবং হনুমানজির মধ্যে এক ভয়ানক সর্বনাশের যুদ্ধ শুরু হয় | যেহেতু হনুমানজি রুদ্র অবতার ছিলেন তখন তাকে সমস্ত দেবতার আশীর্বাদ ছিল যে কোন অস্তর প্রোহাড়ে হনুমানজি নত হবেনা তাই শত রকম অস্ত্র প্রয়োগ করে হনুমানজিকে কিছুতেই আটকানো যাচ্ছিল না। দুজনের মধ্যে এক ভয়ংকর যুদ্ধ আরম্ভ হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে এগোচ্ছিল স্যামন অবস্থায় শ্রী রামজি সেখানে প্রস্তুত হয়েছিলেন এবং হনুমানজিকে বুঝালেন তিনি আসলে কারো সাথে যুদ্ধ করছেন এবং তিনি বলেছিলেন আসলে তিনি হলেন রামই হলেন স্বয়ং শিব একথা শুনেই হনুমানজি শিবের মধ্যে রাম কি দেখতে পারলেন এদিকে হনুমানজি তার যুদ্ধ থামিয়ে দিলেন | হনুমানজি ও শিবের লড়াই কখন হয়েছিল ?
তখনই নত মস্তকে হাত জোড় করে শিব অর্থাৎ গ্রামের সামনেই হনুমানজি দাঁড়ালেন এবং হনুমানজির অত্যাধিক শক্তি থেকে শিবজি সন্তুষ্ট হন এবং হনুমানজিকে বলেন তার কাছ থেকে কিছু বর প্রার্থনা করতে তিনি তাকে সেটি দেবেন আর এই ভাবেই দুই মহা শক্তির মধ্যে এই মহাযুদ্ধের অবসান ঘটেছিল | এই যুদ্ধের মধ্যিখানে শ্রীরাম এবং মহাদেব এর ছিল একমাত্র লীলা এই যুদ্ধের মাধ্যমে মহাদেব আসলে হনুমানজির পরীক্ষা করেছিলেন যে তিনি কতটা প্রভুভক্ত কতটা আক্রমণাত্মক ও কতটা সততা নিয়ে প্রভুর জন্য যুদ্ধে নিজের প্রাণ বিপর্যয় করতে প্রস্তুত হচ্ছে এবং প্রভুর এক কথায় তিনি যুদ্ধ থামিয়ে শান্তর দেখাতে সক্ষম হচ্ছে | হনুমানজি ও শিবের লড়াই কখন হয়েছিল ?
তো বন্ধুরা এই আর্টিকেলটি তোমাদেরকে কেমন লাগলো এবং কি শেখালো সেটি অবশ্যই তোমরা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবে এবং আপনারা যদি এই ধরনের ভগবান ও ভক্তের সম্পর্কে আরো তথ্য সনাতন ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে ধর্মের পথে নিজেকে অবলম্বন করাতে চান তবে অবশ্যই কিন্তু আপনারা আমাদের এই ওয়েবসাইটটিকে ফলো করুন এই ওয়েবসাইটটিতে আপনারা পাবেন রামায়ণ তথা রাম হনুমানজি শ্রীকৃষ্ণ এবং বজরংবলীর ও মহাদেবের বেশ কিছু ভক্তিমূলক কীর্তি যা শুনলে আপনার আত্মার শান্তি ঘটবে এবং আপনিও একজন প্রকৃত ধার্মিক ব্যক্তি হয়ে উঠবেন আপনি যদি হিন্দু হয়ে থাকেন অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট টির সম্পূর্ণ তথ্য ফুটিয়ে দেখবেন। আমাদের হিন্দু ধর্মের এমন কিছু কালচার রয়েছে যা এখনো পর্যন্ত আমরা সেগুলি থেকে বঞ্চিত হয়েছি বা অবজ্ঞা রয়েছি সেগুলি জানতে আপনাকে আমরা সহায়তা করব এই ধরনের প্রবন্ধ গুলির মাধ্যমে | হনুমানজি ও শিবের লড়াই কখন হয়েছিল ?