Eight proofs of the authenticity of Ramayana ? রামায়ণের সত্যতার আটটি প্রমাণ ?

Eight proofs of the authenticity of Ramayana ? রামায়ণের সত্যতার আটটি প্রমাণ ?

Eight proofs of the authenticity of Ramayana ? রামায়ণের সত্যতার আটটি প্রমাণ ?
Eight proofs of the authenticity of Ramayana ? রামায়ণের সত্যতার আটটি প্রমাণ ?

 রামায়ণ নিয়ে বিতর্কের সারাংশ (Eight proofs of the authenticity of Ramayana ? রামায়ণের সত্যতার আটটি প্রমাণ ?)

রামায়ণ নিয়ে মানুষের মনে রয়েছে নানান বিতর্ক। তবে আজকে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো রামায়ণে কথিত সমস্ত কথা সত্য। ও সেই সমস্ত জায়গাগুলো বর্তমান। এখনো মানুষের মনে কৌতুহল জেগে থাকে রামায়ণ কি সত্যি করেছিল? নাকি এটা শুধুমাত্র মানুষেরও মনগড়া কাহিনী। এসব কিছুর সঠিক তথ্য তুলে ধরবো আজকে আপনাদের সামনে। রামায়ণ অবস্থিত  এইসব  শুধুমাত্র রামায়ণের ছিল তেমন নয়, বর্তমান যুগে বৈজ্ঞানিক তথ্য অনুযায়ী এই নানা রকম তথ্য বা প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় প্রাচীনকালে সত্যি রামায়ণের মতো ঘটনা ঘটেছিল। আর সেই কাহিনী অনেকে বিশ্বাস না করলেও অধিকাংশ মানুষেই রামায়ণে বিশ্বাসী।

 

 মহর্ষি বাল্মিকীর রামায়ণ তৈরি (Eight proofs of the authenticity of Ramayana ? রামায়ণের সত্যতার আটটি প্রমাণ ?)

 প্রাচীন সময়ে, মহর্ষি বাল্মিকী ছিলেন একজন অধ্যক্ষ মুনি। তবে তিনি সে সময়ে বাল্মিকী হলেও, তার আগে তিনি ছিলেন একজন বড় মাপের দস্যু। তার নাম ছিল রত্নাকর। তিনি রত্নাকর দস্যু নামে খ্যাত ছিলেন।

 পরবর্তীতে নিজের ভুল বুঝতে পেরে, তপস্যার মাধ্যমে তিনি সাধক হন। ও রামায়ণ ঘটনা ঘটার আগেই তিনি রামায়নের সৃষ্টি করেছিলেন।

 

 রামায়ণ নিয়ে মানুষের কৌতূহল (Eight proofs of the authenticity of Ramayana ? রামায়ণের সত্যতার আটটি প্রমাণ ?)

রামায়ণ নিয়ে মানুষের রয়েছে নারান বিতর্ক। কেউ মানেন রামায়ণ নামক ঘটনা ঘটেছে। আবার অনেকেই মনে করেন রামায়ণ নেশা কি এক কাল্পনিক মনগড়া কাহিনী। অনেকে মনে করেন সত্যিই কি রামের জন্ম ঘটেছিল? সত্যিই কি হনুমান নিজের রূপ পরিবর্তন করতে পারবেন? সত্যি কি রাবণ ছিল? ছিল রাবণের দশটা মাথা? এই সমস্ত কৌতুহল নিয়ে মানুষ প্রচুর আগ্রহী। তবে রামায়ণ ঘটনাটি ঘটেছিল। আর সেটা বর্তমানে, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে রিসার্চ করে এর প্রমাণ পাওয়া যায়।

তৎকালীন সময়ে ঘটে যাওয়া কিছু চিহ্ন বা প্রমাণ বর্তমান যুগে রয়ে গেছে।  যেটার মাধ্যমে মানুষ বিশ্বাস করেন যে তৎকালীন সময়ে সত্যি সত্যি রামায়ণ ঘটনা ঘটেছিল। তৎকালীন সময়ের শুধু অল্প নয় অনেক বড় বড় প্রমাণ রামায়ণ প্রেমীদের মনে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।

আজ আমরা রামায়ণের আটটি বর্তমান প্রমাণ নিয়ে আলোচনা করব। তৎকালীন সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত অনেক ঘটনার সত্যতা তুলে ধরব আপনাদের সামনে। তো চলুন দেখে নিই সে সময়ের সাথে যুক্ত বর্তমান সময়ের কিছু উপস্থিত প্রমাণ।

 

 দ্রোনাগিরি পর্বত

দ্রোনাগিরি পর্বত হলো সেই পর্বত যেখানে, লক্ষণের সাথে মেঘনাথের যুদ্ধ হয়েছিল। দ্রোনাগিরি পর্বতে মেঘনাথের সাথে তখনের যুদ্ধে লক্ষণ হেরে যায় ও প্রায় মৃত্যু প্রায় অবস্থায় পৌঁছে যায়। এবং তাকে বাঁচানোর জন্য দ্রোনাগিরি পর্বত থেকে সঞ্জীবনী বুটি নিয়ে আসার জন্য বলা হয়। ওই সঞ্জীবনী বুটির মাধ্যমে লক্ষণের প্রান ঠিক হবে। এই সঞ্জীবনী বুটি আনার জন্য হনুমান রওনা হয়। তবে ওই দ্রোনাগিরি পর্বতে সঞ্জীবনী বুটি হনুমানের চিনতে না পারার কারণে হনুমান সেই পর্বতের একটা অংশ তুলে নিয়ে আসে।ও তারপর সঞ্জীবনী বুটির দ্বারা লক্ষণের প্রাণ রক্ষা হয়।

তবে লক্ষনের সুস্থতার পর, হনুমান সেই পর্বতে কয়েক টুকরোয় বিভক্ত করে শ্রীলঙ্কায় ফেলে দেয়। সেই সমস্ত টুকরো শ্রীলঙ্কায় ফেলে দেওয়ার কারণে এখনো পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় অনেক ভালো ভালো ঔষধী পাওয়া যায়। ওই দ্রোনা গিরি পর্বতে বিভিন্ন ধরনের ঔষধের গাছ ছিল, যেগুলি হনুমানের টুকরো করে শ্রীলঙ্কায় ফেলার কারণে আজও শ্রীলঙ্কাতে অনেক উন্নতমানের জরিবুটি ও ঔষধ পাওয়া যায়।

দ্রোনাগিরি  পর্বত থেকে হনুমানের পর্বতের টুকরো ভেঙ্গে নিয়ে আসার প্রমাণ আজ ওই পর্বতে রয়ে গেছে। ওই পর্বতের একাংশ এখনো সেই ভগ্ন অবস্থায় আছে। দেখে মনে হয়, সে স্থান থেকে কিছু অংশ তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় তৎকালীন সময়ে রামায়ণ  ঘটেছিল।

 

 রাবণের বিমানবন্দর (Eight proofs of the authenticity of Ramayana ? রামায়ণের সত্যতার আটটি প্রমাণ ?)

 শুধুমাত্র বর্তমান যুগেই নয়, রামায়ণের সময়কালও ছিল বিমানবন্দর। তবে সে বিমানবন্দ শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কাতেই অবস্থিত ছিল। কথিত আছে রাবণ তার পুষ্পক রথ ওরাতেন। আর তার জন্য তার ছিল চারটি বিমানবন্দর। বিমানবন্দর গুলি হল  গুরুলা পোতা, ওসান গোড়া, মরিয়া পোলা ও তুতু পোলা কোন্দা। হ্যাঁ এইগুলিই ছিল রাবণের বিমানবন্দর। যেখানে তিনি তার পুষ্পক রথ থামাবেন। বর্তমান সময়ে সেই সমস্ত স্থানগুলো আজও বর্তমান। শ্রীলংকা নিয়ে  অর্গানাইজেশনের রিসার্চ মতে মানা হয় রামায়ণের লঙ্কায় হচ্ছে বর্তমান যুগের শ্রীলংকা 

 

 রাবণের মহল Eight proofs of the authenticity of Ramayana ? রামায়ণের সত্যতার আটটি প্রমাণ ?

 তৎকালীন সময়ে রাবণের সোনার কেল্লা বা রাবনের মহল ছিল। যেটা আজও অবস্থিত আছে। তবে সেই সোনার কেল্লা বর্তমানে আগুনে পোড়া অবস্থাতে আছে। সোনার কেল্লা যে আগুনে পুড়ে গেছিল, সেটা এখনো সেই প্রাসাদ দেখলে বোঝা যায়। সে কেল্লায় ছিল বিভিন্ন রকমের গুহা। যে গুহা সুরঙ্গ পথে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যেত। রাবণ চোখের পরকে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারতেন। তাছাড়া রাবণ বিভিন্ন সময় ওই গুপ্ত রাস্তা গুলির ব্যবহার করতেন। রামায়ণের সময়কালে রাবণের গুপ্ত রাস্তা গুলি আজও শ্রীলঙ্কা তে রয়ে গেছে। এর থেকেও প্রমাণ পাওয়া যায় যে, তৎকালীন সময়ের রামায়ণ নামক ঘটনাটি ঘটেছিল।Eight proofs of the authenticity of Ramayana ? রামায়ণের সত্যতার আটটি প্রমাণ ?

 

 অশোক বাটিকা বা অশোক বন

 অশোক বন শ্রী রঙ্কাতে অবস্থিত ছিল। এই অসভ্যনে অশোক গাছের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে এই বনকে অশোক বন বা অশোক বাটিকা বলা হত। এই অশোক বন ছিল প্রচুর রহস্যময় স্থান, তবে জায়গাটি রাবনের খুব প্রিয় জায়গা ছিল। যেখানে রাবণ সীতাকে রেখেছিলেন। উপস্থিত সময়ে সীতাকে অশোক বনে থাকতে হয়েছিল। অশোক বোনের যে স্থানটিতে সীতা থাকতেন, সেই জায়গাটি কেসি তা এনিয়া বলে  চিহ্নিত করা হয়। এবং সেখানে সীতা নামে একটি মন্দির ও স্থাপন করা হয়, যে মন্দিরটি  বীরাঙ্গটক মন্দির নামে পরিচিত। সে অসভ্যবান শ্রীলঙ্কা তে আজও বর্তমান রয়েছে। এই অশোক বনো প্রমাণ করে তৎকালীন সময় রামায়ণের ঘটনা।

 

 রাম সেতু

 রাম সেতু তৈরি হয়েছিল রামায়ণের সময়। নাসার বৈজ্ঞানিকরা এই রাম সেতুর চিত্র আমাদের মাঝখানে তুলে ধরেন।। রাম সেতুটি ভারতের ধনুরকরি স্থান থেকে শ্রীলংকার মান্নার দ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত। এই সেতু দৈর্ঘ্যে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত লম্বা। নাসার বৈজ্ঞানিকরা রিসার্চ করে দেখেন যে ধনুর করি থেকে মান্নার দ্বীপ পর্যন্ত সেতুর মতো  কিছু চিত্র দেখা যায়। সেই সেতু এবং বিভিন্ন ডিসচার্জ এর মাধ্যমে নাসা ঐ সেতু সম্পর্কে আবশ্যিক হন। এই সেতুও বোঝায় রামায়ণের ঘটনা।Eight proofs of the authenticity of Ramayana ? রামায়ণের সত্যতার আটটি প্রমাণ ?

 

 পাথরে তৈরি রাম সেতু

 পাথর দিয়ে তৈরি রাম সেতু এখনো পর্যন্ত জলে ভাসে। তবে এখনো সাধারন পাথর নয়। তৎকালীন সময়ে পাথরের রামনাম লেখার কারণে পাথর জলে ভেসে ছিল এটা লোকের মান্য। তবে বৈজ্ঞানিকদের মতে, এই পাথর আগ্নেয়গিরি লাভা থেকে বেরিয়ে আসে। আগ্নেয়গিরি লাভা থেকে বেরিয়ে আসা এটি এক ধরনের বিশেষ পাথর। যার বিজ্ঞানসম্মত নাম পিউমানিক স্টোন। আগ্নেয়গিরির লাভা থেকে এই পাথর বেরোনোর সময় জলন্ত অগ্নিপিণ্ড হয়ে থাকে, ওই পাথর বাতাসে বেরোনোর সাথে সাথে বাতাস ঐ পাথরে মিশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র গঠন করে। বৈজ্ঞানিকদের মতে  ওই ছিদ্রের কারণে পিউমানিক স্টোন জলে ভাসতে পারে। তবে বৈজ্ঞানিকরা ওই রামসেতুর পাথর রিসার্চ করে দেখেছেন, ওই পাথরের রামনাম লেখা আছে। এই পাথরে লেখা রাম নাম তৎকালীন সময়ে রামায়ণের কথা উল্লেখ করে দেয়।Eight proofs of the authenticity of Ramayana ? রামায়ণের সত্যতার আটটি প্রমাণ ?

 

 জলন্ত লঙ্ক

 বর্তমানে জলন্ত লঙ্কা অর্থাৎ তৎকালীন সময়ে ছিলো রাবণের সোনারপুরী। সে সময় রাবণ খুব শখের কারণে সে শ্রীলঙ্কাকে সোনা দিয়ে তৈরি করেছিলেন।  তবে শ্রীলংকার সেই পুড়ে যাওয়া সোনার প্রাসাদ আজও সেখানে অবস্থিত আছে। যে জায়গায় সোনার কেলাচ্ছিল বা পড়েছিল, সে জায়গার মাটিগুলো আজ হোক কালো হয়ে আছে। তবে পাশের মাটি সাদা। এটা কোন প্রাকৃতিক দৃশ্য বা কাল্পনিক দৃশ্য তো হতে পারে না, তো এই ঘটনাও প্রমাণ করে সে সময় রামায়ণের কাহিনী।Eight proofs of the authenticity of Ramayana ? রামায়ণের সত্যতার আটটি প্রমাণ ?

 

 সুগ্রিপের গুহা

 সুগ্রিবের ভাই বালির কারণে সুগরিব যে গুহাটিতে লুকিয়েছিলেন, সেই গুহাটি শুক্রবার গুহা নামে পরিচিত। সুগ্রিবের ভাই বালি কিশকিংধার রাজ্য থেকে সুদীপ্ত তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সুগ্রিম ওই গুহাতে লুকিয়ে থাকেন, পরবর্তী সময় ওই গোয়ায় রামের সঙ্গে সুগরিবার দেখা হয়। তাদের বন্ধুত্ব পরায়ণ ঘটে। রাম বালি কে হত্যা করে সুগ্রীপকে কিশকিংধার রাজ্য উপহার দেন। সেই গুহাটি আজও শ্রীলংকার  অবস্থিত রয়েছে।Eight proofs of the authenticity of Ramayana ? রামায়ণের সত্যতার আটটি প্রমাণ ?

উপরিয়ক্তে এই সমস্ত কাহিনীগুলি নিছকই কাল্পনিক বলে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। এই সমস্ত কিছুর প্রমাণ থেকে আমরা বুঝতে পারি, সেই সময় রাম, রাবণ ছিল। সেই সময় রামায়ণ ঘটেছিল।Eight proofs of the authenticity of Ramayana ? রামায়ণের সত্যতার আটটি প্রমাণ ?

Prokash Durlov

আমার নাম প্রকাশ করলাম আমি একজন প্রফেশনাল ব্লগার | ব্লগিং করি এবং ব্লগিং থেকে যেটুকু অর্থ উপার্জন করি সেটুকু আমার সংসারের কাজকর | আমি ২০১৩ সাল থেকে ব্লগিং করছি ব্লগিং ক্যারিয়ারে অনেক ওঠানামা হয়েছে তবুও আমি ব্লক থেকে ছাড়িনি আজও পর্যন্ত ইন্টারনেটের মাধ্যমে সমস্ত ধরনের ইনফরমেশন দর্শকের সামনে তুলে ধরছি |

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

GP Global