রাম সেতুর নিচের অজানা দুনিয়ার দৃশ্য ও তাদের সম্পর্কে কিছু অজানা ইতিহাস সম্পর্কে জানুন?

 রাম সেতুর নিচের অজানা দুনিয়ার দৃশ্য ও তাদের সম্পর্কে কিছু অজানা ইতিহাস সম্পর্কে জানুন?

 রাম সেতুর নিচের অজানা দুনিয়ার দৃশ্য ও তাদের সম্পর্কে কিছু অজানা ইতিহাস সম্পর্কে জানুন?
রাম সেতুর নিচের অজানা দুনিয়ার দৃশ্য ও তাদের সম্পর্কে কিছু অজানা ইতিহাস সম্পর্কে জানুন?

 জলের নিচে আজও ডুবে রয়েছে রামের পায়ের ছাপ আজও সমুদ্রের নিচে রয়েছে রামায়ণের প্রমাণ। সেই প্রমাণ নষ্ট করার জন্য সরকারের এত উৎসাহ কেন রাম সেতু সমুদ্রের নিচের এই সেতু তলাতেই লুকিয়ে রয়েছে সাড়ে সাত হাজার বছর আগের রামায়ণের আসল প্রমাণ। শ্রীরামের পায়ের ছাপ আজও রয়েছে এই সেতুর বুকে। আজ পর্যন্ত রাম সেতুর প্রমাণ হিসেবে ভারত বর্ষ নয় নাসার  স্যাটেলাইটের তোলা কয়েকটা ছবি দেখেছে। ভারতের  ধনুশ কোটি  থেকে একটা ছবি শ্রীলংকার মান্নার পর্যন্ত সমুদ্রের জলে আটটি ভিবি দেখা গেছে। সারা পৃথিবী রাম সেতুর অবশেষ হিসেবে মেনে নিয়েছে। আসলে সত্যি কি আছে এই রাম সেতুর নিচে। ভারত সরকারের একসময়ের ঘোষণা অনুযায়ী রামসেতু কি ম্যানমেড স্ট্রাকচার নাকি এসব শুধুমাত্র জাস্ট মিথ্যা। তাহলে রামায়ণও কি জাস্ট একটা গল্প। ভারতবর্ষের সীমানার লাস্ট পয়েন্টে অবস্থিত এই রাম সেতুর সাথে রিলেটেড এই সাইন্টিফিক ও ম্যাথর্জিক্যাল প্রমাণ নিয়ে এসেছি আপনাদের কাছে আজ শুরু করব রাম সেতুর উৎপত্তিস্থল হলো   তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম কারণ বাল্মিকী রামায়ণের লঙ্কাকাণ্ডের বর্ণনা অনুযায়ী এখানেই আছে সেতুবন্ধন রামেশ্বরম। এর মানে রাম সেতুর উৎপত্তিস্থল। চলুন দেখা যাক কি আছে রাম সেতুর নিচে?( রাম সেতুর নিচের অজানা দুনিয়ার দৃশ্য ও তাদের সম্পর্কে কিছু অজানা ইতিহাস সম্পর্কে জানুন?)

 

 কিভাবে প্লানিং হয়েছিল রাম সেতু নির্মাণের?( রাম সেতুর নিচের অজানা দুনিয়ার দৃশ্য ও তাদের সম্পর্কে কিছু অজানা ইতিহাস সম্পর্কে জানুন?)

 রাম ভীরু খা মানে  রাম জিরু খা মানে শ্রীরাম যখন লঙ্কা বিজয়ের জন্য তার জল বিস্তার করেছিলেন তখন তিনি ভারতবর্ষের দক্ষিণের এই জায়গাটিতে এই সেই রাম রাবণের যুদ্ধের ফাস্ট প্লানিং করেছিলেন। আর তাতে তার সেনাপতি ও বানর সেনার সাথে রামায়ণের  যুদ্ধের ব্লু প্রিন্ট এবং যোজনা এখানেই হয়েছিল। আর এই স্থান থেকেই পুরো রামেশ্বরম কে একসাথে দেখা যায়। এখান থেকেই দক্ষিণ দিকে রয়েছে শ্রীলংকা। যেহেতু এখান থেকেই এক নজরে  গোটা রামেশ্বরম ও শ্রীলংকা দেখা যায়।তাই এখানে দাঁড়িয়ে শ্রীরাম রাম সেতু নির্মাণের থেকে সুযোগ্য পয়েন্টে সিলেক্ট করতে পেরেছেন। এমন কি প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী এখান থেকেই শ্রী হনুমান সমুদ্র পাড়ে যাওয়ার সুবিশাল লম্পতি দিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে সেতু বানানোর জন্য প্রথম পড়ল সেতু কড়াইতি। শুরু হলো রাম সেতু তৈরির কাজ।( রাম সেতুর নিচের অজানা দুনিয়ার দৃশ্য ও তাদের সম্পর্কে কিছু অজানা ইতিহাস সম্পর্কে জানুন?)

 কিভাবে তৈরি হয়েছিল এই রাম সেতু?( রাম সেতুর নিচের অজানা দুনিয়ার দৃশ্য ও তাদের সম্পর্কে কিছু অজানা ইতিহাস সম্পর্কে জানুন?)

 

 বাল্মিকী রামায়ণের লেখা আছে রাম সেতু তৈরি হতে মোট পাঁচ দিন সময় লেগেছিল। ১০০ যোজন লম্বা ও দশজন চওড়া এই রাম সেতুর ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন বিশ্বকর্মার পুত্র নল এবং সেন। তা একে নল সেতু বলে ডাকা হয়। তাই তারা দেশের সেতু তৈরির সমস্ত পাথর এই সেতু করাইতে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাই এই পয়েন্টে নলের সম্বন্ধে একটা মূর্তি আজও তৈরি করা রয়েছে। বলা হয়েছে রামচন্দ্র সেতু তৈরির সময় সমুদ্রের তটে বসে একটি বালের শিবলিঙ্গ তৈরি করে শিবের পূজা করছিলেন। এই জায়গাতেই আজ শ্রী রামের শিবমূর্তি এবং শিবের বড়ো মন্দির রয়েছে। দেশ জুড়ে শিবের বারোটি লিঙ্গের মধ্যে এটিও  একটি। আর হিন্দুদের চারধাম যাত্রার মধ্যে এটিও একটি। ওখান থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে ধনুষ কোটি থেকে শুরু হয়েছে রাম সেতু তৈরি কাজ। আর এখান থেকেই পৌরাণিক ফ্যাক্টের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছে সাইন্স।( রাম সেতুর নিচের অজানা দুনিয়ার দৃশ্য ও তাদের সম্পর্কে কিছু অজানা ইতিহাস সম্পর্কে জানুন?)

 

 কোন পাথর দিয়ে তৈরি হয়েছিল এই সেতু?( রাম সেতুর নিচের অজানা দুনিয়ার দৃশ্য ও তাদের সম্পর্কে কিছু অজানা ইতিহাস সম্পর্কে জানুন?)

 জিওলজিস্টদের মতে পৃথিবীর উপরের ভূমিস্তর  সরিয়ে যত নিচে যাবেন অতই পুরনো দিনের মাটি পাবেন। অর্থাৎ মাটির উপরের স্তর থেকে নতুন এবং মাটির যত ভেতরের দিকে যাবেন মাটির ভেতরে স্তর ততটাই পুরোনো। সুতরাং মাটির উপরের স্তর মাটির শেষের স্তরের থেকে কিছুতেই বেশি পুরনো হতে পারে না। বাট রাম সেতুর ক্ষেত্রে এর ঠিক উল্টোটাই হয়েছে। কারণ রাম সেতুর নিজের পাথরের বালি স্তরের বয়স চার হাজার বছর কিন্তু অপরের পাথরের বয়স সাত হাজারের থেকেও বেশি। এখানেও সাইন্স বলছে খুব পছন্দের আম সেতুর পাথর অন্য কোন জায়গা থেকে নিয়ে এসে এখানে বসানো হয়েছে। অর্থাৎ প্রথম প্রশ্নের উত্তর রাম সেতু ইস এ ম্যান মেড স্ট্রাকচার। আর এই পাথরগুলো কিন্তু কম রহস্যময় নয়। কারণ আজও রামসেতুর পাথর জলের উপরে ভাসে। যতবারই এই পাথরকে আপনি জলে ডুবিয়ে দেবেন ততবারই এই পাথর জলের উপরে ভেসে উঠতে থাকবে।  সাইন্স এই পাথরটিকে পিউ মিস্টোন বা কোরাল স্টোন বলে থাকে। আর্কিওলজিস্টদের মতে কোরাল আর সিলিকা পাথর যখন গরম হয়ে যায় তখন তার মধ্যে হাওয়া ঢুকে যায় ও হাওয়া আটকে থাকে ও সেটি হালকা হয়ে যায়। আর এই জলে ভাষা শিরা দিয়েই তৈরি হয়েছিল শ্রী রামের রাম সেতু। কিন্তু রাবনের লঙ্কা জয়ের পরে বিভিশনের অনুরোধে শ্রীরাম এই সেতুর কিছু অংশ ধ্বংস করে ফেলেছিলেন। গঙ্গারাম গর্গ রচিত এই এ সাইক্লোপিডিয়া অফ এ হিন্দু ওয়াল গ্রন্থ থেকে জানা যায় প্রায় পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত পায়ে হেঁটে এই সেতু পার হওয়া যেত। স্থানীয় মন্দির থেকে প্রাপ্ত রেকর্ড এর তথ্য থেকে জানা যায় প্রায় ১৪৮০ সালে এক ভয়ংকর সাইক্লোনে এই  সেতু ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর আগে এই সেতু পুরোপুরি সমুদ্রপৃষ্ঠের উপরেই অবস্থান করতো। এতকিছু সত্য এই সেতুর সমুদ্র পৃষ্ঠের উপরে এমন কিছু জায়গা আছে যে সেতুর অংশ এমন ভাবে দাঁড়িয়ে আছে যা আজও আপনি এই সেতুর উপরে দাঁড়াতে পারবেন। অর্থাৎ সমুদ্রের জলের মধ্যে মানুষের পায়ের ছাপ। এক জায়গার একখানে রয়েছে শ্রীরামের পায়ের ছাপ। এখনো রাম সেতুর কিছু অবশেষ মাটির উপরে রয়েছে। যেখানে এখনো আপনি দাঁড়াতে পারেন। অর্থাৎ দুই সমুদ্রের মাঝখানে। আবার বলা হয় যে রাম সেতুর এই জায়গাটা থেকেই শ্রীলঙ্কা ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আর বলা হয় যে আজ থেকে সাড়ে সাত হাজার বছর আগে এই জায়গাতেই হেঁটে গেছিলেন শ্রী রামচন্দ্র।( রাম সেতুর নিচের অজানা দুনিয়ার দৃশ্য ও তাদের সম্পর্কে কিছু অজানা ইতিহাস সম্পর্কে জানুন?)

 

 কি আছে এই রাম সেতুর নিচে?( রাম সেতুর নিচের অজানা দুনিয়ার দৃশ্য ও তাদের সম্পর্কে কিছু অজানা ইতিহাস সম্পর্কে জানুন?)

 সমুদ্রের জলের নিচে এক আশ্চর্য রঙিন পৃথিবী আছে। যেখানে বিভিন্ন কালারের প্রবাল, করাল,সী উইন্ডস, এসব তো আছেই সাথে আছে রাম সেতুর পাথরও। এই পাথরগুলোকে আজও রামসেতুর পাথরের টুকরো থেকে ভেঙে পড়া টুকরো হিসেবেই মনে করা হয়। সামুদ্রিক প্রাণীর যাকে জড়িয়ে থাকা এই পাথরগুলোকে ইউ মিস কোরাল বলে বলা হয়। ২০১৭ সালে একজন সমুদ্রবিজ্ঞানী এসব পাথর ও তার পাশের বালি গুলি নিয়ে পরীক্ষা করেছিল। পরীক্ষায় দেখা গেছে এইসব বালির বয়স ৪০০০ বছর। আর ওখানে পাওয়ার সেই পাথরের বয়স সাড়ে সাত হাজার বছরেরও বেশি। অর্থাৎ ওই সমুদ্রের জলের ভেতরে যে পাথরগুলো আছে সেই পাথরগুলোর বয়স রামায়ণের সমসাময়িক বছর। কিন্তু সরকার কেন এই রামের সেতুকে ভেঙে ফেলতে চায়? বিতর্ক টা আসলে শুরু হয়েছিল বছর দশেক আগে। এখন কংগ্রেস জোট সরকার এই সত্যতা অস্বীকার করে। তবে যদি এই সেতু এলাকা না থাকতো তাহলে এর মাঝখান দিয়ে শর্টকাট হয়ে জাহাজ পার হয়ে যেতে পারত। এখন এই জায়গা দিয়ে জাহাজ পারাপার হতে গেলে জাহাজের বেশ খানিকটা পথ ঘুরে যেতে হয়। ঠিক এই কারণেই যে ভারত সরকার ২০০৫ সালে সেতু সামাদ্দার স্পিনিং চ্যানেল প্রজেক্ট রামের একটি মাল্টিমিলিয়ান ডলার প্রজেক্ট হাতে নেয়। যার উদ্দেশ্য ছিল একটি স্রিফটি চ্যানেল তৈরি করা। কিন্তু সেটি তৈরি করতে গেলে রাম সেতুর বেশ বড় খানিকটা অংশ ধ্বংস করতে হবে। একেই তো কালের গর্ভে বেশ অনেকটাই ক্ষয় হয়ে গেছে। তবে বর্তমানে যেটুকু আছে সেটুকু কি আমরা যত্ন করে রাখতে পারি না। এই টপিক নেই রাম সেতু নামের একটি বলিউড মুভি কিছুদিন আগেই রিলিজ করেছে। জেঠি সরকারের এই প্রজেক্টটি ঘিরে তৈরি হয়েছিল। অবশেষে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০১৭ সালের ডিসকভারি সাইন্স তাদের ওয়াগন আর নামে এনসিয়েন্ট ল্যান্ড ব্রিজ পড়বে দাবি করেন তামিলনাড়ুর ধনুশ কোটি ধরে পপ প্রণালী ধরে শ্রীলঙ্কা পর্যন্ত জলে ডুবে থাকা পাথরের সেতুটি প্রাকৃতিক নয়। মানুষের তৈরি বলা হয় যে, স্যাটেলাইটের ছবিগুলি বিশ্লেষণ করে মার্কিন সংস্থার নাসা দেখিয়েছে দুই দেশের মধ্যে সমুদ্রের নিচ দিয়ে থাকা প্রাচীরের ওপর দিকের পাথরগুলি প্রকৃতি একেবারেই আলাদা। সম্ভবত অন্য কোন জায়গা থেকে এনে সেগুলো ওখানে বসানো হয়েছিল। আর্কিওলজিস্ট জেলি ফিরোজ জানান ওগুলো বেলে পাথর সামুদ্রিক প্রবাল নয় সুতরাং এর মধ্যে কোন কাহিনী রয়েছে। আর সেই কাহিনী লেখা হয়েছে আজ থেকে সাড়ে সাত হাজার বছর আগের বাল্মিকী রচিত রামায়ণে। সেই কাহিনী শ্রীরামের লঙ্কা বিজয়ের। আর ভারতীয় সভ্যতার সাংস্কৃতিক প্রতীক হলো এই রাম সেতু। ( রাম সেতুর নিচের অজানা দুনিয়ার দৃশ্য ও তাদের সম্পর্কে কিছু অজানা ইতিহাস সম্পর্কে জানুন?)

 

 

Prokash Durlov

আমার নাম প্রকাশ করলাম আমি একজন প্রফেশনাল ব্লগার | ব্লগিং করি এবং ব্লগিং থেকে যেটুকু অর্থ উপার্জন করি সেটুকু আমার সংসারের কাজকর | আমি ২০১৩ সাল থেকে ব্লগিং করছি ব্লগিং ক্যারিয়ারে অনেক ওঠানামা হয়েছে তবুও আমি ব্লক থেকে ছাড়িনি আজও পর্যন্ত ইন্টারনেটের মাধ্যমে সমস্ত ধরনের ইনফরমেশন দর্শকের সামনে তুলে ধরছি |

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

GP Global