হনুমানের জন্মের ইতিহাস কি ছিল ? কিভাবে হনুমানের জন্ম হয়েছিল ?

হনুমানের জন্মের ইতিহাস কি ছিল ? কিভাবে হনুমানের জন্ম হয়েছিল ?



আজকে আমি আপনাদের সামনে এমন একটি কাহিনী বলতে চলেছি যেটি খুবই রহস্যময় আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা এই রহস্যটা জানেননা যে ভগবান হনুমানজি কিভাবে এবং কোথায় জন্ম হয়েছিল এবং কিভাবে হনুমানজি, এত শক্তিশালী হয়েছিল এই বিষয়ে আপনাদের যদি কোন কৌতুহল থাকে তবে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার চেষ্টা করুন | 

 

ভগবান হনুমানের জন্মের ইতিহাস: ভগবান হনুমানের জন্ম হয়েছিল সত্য যুগে মাতা অঞ্জনা দেবীর গর্ভে মাতা অঞ্জনা দেবী স্বর্গ লোকের এক অপ্সরা ছিলেন কিন্তু তিনি কোন এক মন ঋষির দ্বারা অভিশাপ পেয়ে পৃথিবী লোকে হনুমান রূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, কারণ মাতা অঞ্জনা দেবী শৈশব কালে বল ছুড়ে এক ঋষির ধ্যান ভঙ্গ করেছিলেন। সেই ঋষি হনুমানের রূপ ধারণ করে তপসটা করছিলেন আর খেলার ছলে মাথা অঞ্জনা দেবী বল তার গায়ে ছুঁড়লে তার ধ্যান ভঙ্গ হয়। তখন তিনি রাগন্বিত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রূপ ধারণ করে এবং অঞ্জনা দেবীকে অভিশাপ দেয় যে যখনই মাতা অঞ্জনা দেবী কারো সঙ্গে প্রেম করবে তখনই তিনি হনুমান রূপ ধারণ করবে এ কথা শুনে মাথা অঞ্জনা অঞ্জনা দেবী মুনি ঋষির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন কিন্তু তখন ঋষি তার কোন কথাই শোনেননা | অনেক কাকুন্তি মিনতি করার পর মাতা অঞ্জনা দেবী ওপর সন্তুষ্ট হয়ে সেই মনীষী তাকে বলেন আমি আমার দেওয়া কোন অভিশাপ তোমাকে ফিরিয়ে নিতে পারব না কিন্তু আমি তোমাকে আশীর্বাদ দিচ্ছি যে ভগবান শিবের অংশকে তুমি নিজের গর্ভে ধারণ করবে তোমার গর্ভে ধারণেই সে জন্মগ্রহণ করবে। এ কথা শুনে মাথা অঞ্জনা দেবী জঙ্গলের ভেতরেই কানতে শুরু করলেন সেই সময় জঙ্গলের ভেতর তার পরিচয় হয় বানর রাজা কিশোরীর কিশোরীকে দেখামাত্রই অঞ্জনি হনুমান রূপ ধারণ করেন ওই মুনি ঋষির অভিশাপের জন্য | সেই সময় অঞ্জনা দেবী নিজের রূপ ঢাকার চেষ্টা করলেও বানরাজ কেশরী তখন তার পরিচয় দেয় তখন তিনি বলেন বানর রাজ কেশরীয় কিন্তু মানবরূপ ধারণ করতে পারেন এরপর কেশরী অঞ্জনিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন | মাতা অঞ্জনা দিবি তখন সেই বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হন এবং তারা দুজনে বিবাহ করেন |

 

তারা দুজন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন দেবরাজ ইন্দ্রের আশীর্বাদ নিয়ে অন্যদিকে রাজা কেশরী ঋষি, ভারতধজকে এক হিওস্র পশুর হাত থেকে রক্ষা করেন এবং তখন তাকে আশীর্বাদ দেন যে তিনি এক বলশালী পুত্রের পিতা হবেন | এরপর তারা যখন সন্তান সুখ থেকে বঞ্চিত হলো তখন মাথা অঞ্জনি এক ঋষির কাছে গেলেন এবং তার সমস্যার কথা তাকে বললেন, সব শুনে তাকে পবন দেবের তপস্যা করতে বললেন সব শুনে মাথা অঞ্জনা দেবী তখন পবন দেবের তপস্যা করতে লাগলেন |

 

অন্যদিকে অযোধ্যায় রাজা দশরথ পুত্র সন্তান লাভের জন্য যোগ্য শুরু করেন অগ্নিদেব এই যজ্ঞের সন্তুষ্টি হয়ে রাজা দশরথকে এক বাটি প্রসাদ বিতরণ করেন তখন গরুর পাখি সেই বাটিটি কে নিয়ে গিয়ে তপস্যরত মাতা অঞ্জনা দেবীর কাছে রেখে অদৃশ্য হয়ে যান, তখন মাতা অঞ্জনা দিবি সেই বাটিভর্তি প্রসাদ কে ঈশ্বরের আশীর্বাদ স্বরূপ গ্রহণ করেন। প্রসাদ গ্রহণের পরই খুব জোরে বাতাস এসে মাতা অঞ্জনাকে ধাক্কা দেন, তখন মাতা অঞ্জনি দেবী সেই বাতাসকে কোন এক রাক্ষস ভেবে অভিশাপ দিতে থাকে তখন পবন দেব সেই স্থানে অবতারণা হয়ে তাকে সমস্ত ঘটনা উল্লেখ করে বলে এবং মাতা অঞ্জনা দেবীর তপস্যয় সাধনা হয়ে তাকে আশীর্বাদ স্বরূপ দেন যে তিনি এমন এক সন্তানকে জন্ম দেবে যিনি অগ্নি, সূর্য, বেদবেদান্তের মতো জ্ঞানী ও বলশালী হবেন এই আশীর্বাদ পাওয়ার পর থেকে অঞ্জনা দেবী মহাদেবের তপস্যা শুরু করেন মাতা অঞ্জনা দেবীর তপস্ময় সন্তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাকে আশীর্বাদ করেন যে তারই অংশ অঞ্জনার পুত্র হয়ে জন্মগ্রহণ করবেন | তারপরেই অঞ্জনা দেবী জন্ম দেয় এক তেজশ্রী বালক মারুতির আর সেই ভালো কি হলেন স্বয়ং ভগবান হনুমানজি | তো প্রিয় দর্শক বৃন্দ আশা করি আপনারা বুঝলেন যে কিভাবে হনুমানজির জন্মগ্রহণ হয়েছিল অঞ্জনা দেবীর গর্ভে |

Prokash Durlov

আমার নাম প্রকাশ করলাম আমি একজন প্রফেশনাল ব্লগার | ব্লগিং করি এবং ব্লগিং থেকে যেটুকু অর্থ উপার্জন করি সেটুকু আমার সংসারের কাজকর | আমি ২০১৩ সাল থেকে ব্লগিং করছি ব্লগিং ক্যারিয়ারে অনেক ওঠানামা হয়েছে তবুও আমি ব্লক থেকে ছাড়িনি আজও পর্যন্ত ইন্টারনেটের মাধ্যমে সমস্ত ধরনের ইনফরমেশন দর্শকের সামনে তুলে ধরছি |

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

GP Global