পাপী মানুষ সুখী কেন হয় | হিন্দু ধর্মে বলা হয়েছে পাপী মানুষ সুখী থাকার কারণ জেনে নিন কি রয়েছে এর পিছনে লোকানো রহস্য

পাপী মানুষ সুখী কেন হয় | হিন্দু ধর্মে বলা হয়েছে পাপী মানুষ সুখী থাকার কারণ জেনে নিন কি রয়েছে এর পিছনে লোকানো রহস্য

 

পাপী মানুষ সুখী কেন হয় | হিন্দু ধর্মে বলা হয়েছে পাপী মানুষ সুখী থাকার কারণ জেনে নিন কি রয়েছে এর পিছনে লোকানো রহস্য

পাপী মানুষ সুখী কেন হয়: এর কারণ হলো নন্দ ভদ্রের আশঙ্কা ছিল যে পাপী মানুষ সুখী কেন হয়, তার এই আশঙ্কা কিভাবে দূর হলো জানব আজকের এই গল্পটির মধ্যে দিয়ে। বন্ধুরা আপনারা সকলেই হয়তো ব্যাস মুনির নাম শুনেছেন যিনি মহাভারতের সাথে সাথে 18 টি মহা পুরাণের রচয়িতা করেছিলেন জিনিস স্বয়ং ভগবান শ্রীহরি শ্রীকৃষ্ণের অবতার ছিলেন। এনার মধ্যে অতি ভবিষ্যৎ এবং বর্তমানে কাল নিয়ে জানার দিব্যদৃষ্টি প্রাপ্ত ছিল তার সাথে সাথে জগতের সমস্ত পাখি পক্ষী কীট পতঙ্গের মনোভাব ও ভাষা বুঝতে পারতেন। একদিন বেস মনি কোথাও ঘুরতে যাচ্ছিলেন তখন তিনি পথে এক পোকাকে খুব দ্রুত যেতে দেখলেন তখন ব্যাসমনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন কেন ভাই তুমি এত দ্রুত কোথায় যাচ্ছ, তোমার উপর কিসের বিপদ আসতে চলেছে তখন পোকাটি বেশ মনিকে বললেন হে মনিবর আমি এত দ্রুত পালানোর কারণ এদিকে একটা গরুর গাড়ি খুব দ্রুত এগিয়ে আসছে, যদি সে আমাকে পিষে দেয় তবে আমি কোথায় যাব। নিজের প্রান সবার কাছেই প্রিয় তাই আমি নিজের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করছি, তখন ব্যাশমনি তাকে বললেন হে ভাই তুমি তো পাপ জনিতেই জন্মগ্রহণ করেছ তাই তোমার জন্য মরে যাওয়াটাই বেশ। 

 

মানুষ যদি মৃত্যুকে ভয় পায় তবে তার কাছে সেটা ঠিক আছে কারণ মানুষজনম অনেক পুণ্যের ফলে মেলে এবং অনেক দুর্লভ জনম হয়েছে মানব জনম বহুত সৌভাগ্যের ফল মানব জনম মেলে। কিন্তু তোমার এই কিড শরীর ছাড়তে এত ভয় কিসের তখন পোকাটি তাকে বললেন হে মনিষী আমি কিন্তু মৃত্যুকে ভয় পায়না। তবে আমি এটাই ভয় পাই যে আমার থেকেও খারাপ রূপে কেউ জন্মগ্রহণ করেছে। সেদিকে আমি যেন না চলে যাই এজন্যই মৃত্যু ভয়ে ছুটে পালাতেছি। তখন ব্যাশমনি পোকাটিকে বললেন হে পোকা তুমি ভয় পেয়ো না তুমি যে যে যোনিতে জন্মগ্রহণ করবে আমি সেই সেই জমি থেকে তোমাকে উদ্ধার করব যতক্ষণ না তুমি মানব জনম পাচ্ছ। এই কথাটি শোনার পর পোকাটি পিছন দিকে ঘুরে আছে এবং গরুর গাড়ির চাকার তলে পড়ে মারা যায়। মৃত্যুর পর সে কাকের যোনিতে জন্ম নিল,তারপর সে শিয়ালের যোনিতে জন্ম নিতে জন্ম নিল পোকাটি যে যে রূপে জন্মগ্রহণ করত বেস মনি তাকে তার পূর্ব জন্মের কথা মনে করিয়ে দিত যার ফলে সে সেই সব যোনি থেকে খুব শিগ্রই মুক্ত পেয়ে গেল। এইভাবে ওই জিবটি কখনো কুকুর কখনো গাধা কখনো কুমির কখনো আবার বাঘ রূপে জন্ম নিল এভাবে সে চন্ডাল, সুদ্র, ক্ষত্রিয, ও ব্রাহ্মণ হয়। এরপর ব্যাশমনি তাকে মন্ত্র শিক্ষা দিয়ে নিজের শীর্ষ বানিয়ে নিলেন যার ফলে তার মধ্যে চার বেদেরি জ্ঞান হয়। 

 

একদিন ব্যাছমনি সেই পাঁচ বছরের ব্রাহ্মণ পুত্রকে নন্দ ভদ্রের আশঙ্কা দূর করতে তার কাছে পাঠিয়ে দিলেন কারণ নন্দ্রভদ্রের আশঙ্কা ছিল যে পাপে মানুষের সুখ কেন দেখা যায় সেই সময় নন্দ্র ভদ্রের কাছে সেই বালকটিকে তার এই আশঙ্কা যেভাবে দূর করলেন- হে নন্দ-ভদ্র তুমি আমার কথা ভালো করে শোনো। আমি তোমার মনের আশঙ্কা দূর করতে এসেছি তুমি পূর্বজন্মে যে দান করে এ জন্মে যে জন্ম পেয়েছ তার এই ফলে তুমি আজ এই সাম্রাজ্যের রাজা হয়েছে। দানসিকভাবে মানুষ যেভাবে দান করে তার কোন কর্মফল হয় না তবে খারাপ কর্মের ধর্মের কোন অনুরাগ হয়না, আর সেই পাপীকেই সুখী দেখা যায় এমন মানুষ পূর্ণ ফল ভোগ করে নরকে যায়। হে নন্দ ভদ্র একথাগুলি সব সময় মাথায় রাখা উচিত যে-

  • যারা ইহলোকে সুখ ভোগ করে কিন্তু তাদের জন্য পরলোকে কোন সুখ নেই
  • যারা ইহলোকে সুখ ভোগ করে তাদের জন্য পরলোকে সমস্ত সুখ রয়েছে
  • যারা ইহলোকে সুখ ভোগ করে তারা পরলোকে গিয়েও সুখ ভোগ করে
  • যারা ইহলোকে কোন সুখ পেয়ে থাকে তারা পরলোকে গিয়েও কোন সুখ উপভোগ করতে পারে না

যাদের পূর্ব জন্মে অর্জন করা সমস্ত অর্থ সমাপ্ত হয়ে গিয়েছে তারা বাকি জীবনের জন্য কোনটুকুই রেখে যায়নি কোন ব্যক্তি যদি কোন পূর্ণ অর্জন না করে থাকে এ জন্মে তবে পরবর্তী জন্মেও তাকে কোন প্রকার সুখের মুখ দেখতে দেবে না। কেউ যদি এইজন্যে কোন প্রকার পূর্ণ উপার্জন না করে থাকে তবে পরবর্তী যেন মেসে কোন প্রকার সুখ উপভোগ করতে পারবে না যে ব্যক্তি এ জন্মে দান জ্ঞান বিতরণ করে থাকে যদি এ জন্মে সে সুখ না হয়ে থাকে তবে পরবর্তী জন্য আমি তাদের জন্য সুখের দোয়ার উপভোগ করছে। সে প্রচুর সুখী হতে পারবে তাহলে আপনি সর্বদাই মনে রাখবেন যে পাপী মানুষ এ জন্মে সুখ উপভোগ করছে সে পরবর্তী জনমে কোন প্রকার পূর্ণ কাজ করে গেছে যার ফলেই এ জনমে সে এতটাই সুখ উপভোগ করতে পারছে।

Prokash Durlov

আমার নাম প্রকাশ করলাম আমি একজন প্রফেশনাল ব্লগার | ব্লগিং করি এবং ব্লগিং থেকে যেটুকু অর্থ উপার্জন করি সেটুকু আমার সংসারের কাজকর | আমি ২০১৩ সাল থেকে ব্লগিং করছি ব্লগিং ক্যারিয়ারে অনেক ওঠানামা হয়েছে তবুও আমি ব্লক থেকে ছাড়িনি আজও পর্যন্ত ইন্টারনেটের মাধ্যমে সমস্ত ধরনের ইনফরমেশন দর্শকের সামনে তুলে ধরছি |

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

GP Global