আসামে এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে রাতারাতি ১ লাখ লোক নিখোঁজ হয়ে যায়, তারা আসলে কোথায় যায় এখনো পর্যন্ত রহস্য হয়ে রয়েছে এই ঘটনাটি

আসামে এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে রাতারাতি ১ লাখ লোক নিখোঁজ হয়ে যায়, তারা আসলে কোথায় যায় এখনো পর্যন্ত রহস্য হয়ে রয়েছে এই ঘটনাটি




আসামি এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে হঠাৎ করে এক রাতে এক লক্ষ লোক গায়েব হয়ে যায় আসলে তারা কোথায় যায় এই ঘটনাটি সকলের কাছে একটি রহস্য হয়ে রয়েছে, আজকে সেই ঘটনাটিকে নিয়েই আলোচনা করব। আসামের গোহাটি থেকে ঠিক 40 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মায়ান নামের একটি গ্রাম যেটা সম্পূর্ণ রহস্য বিশ্বের কাছে ইতিহাসে শোনা গিয়েছে একবার আকবর যখন তার সেনাদের নিয়ে ওই গ্রামে গিয়েছিল রাজার সভাতে রাজাকে আত্মসমর্পণ করাতে সেই সময় পথ রাজার অর্ধেক সেনা হঠাৎ করে গায়েব হয়ে যায়। এই গ্রামটি সম্পূর্ণ তন্ত্রসাধনার ওপর নির্ভর করে চলে এবং আশেপাশে গ্রামের যে সমস্ত বাসিন্দারা রয়েছে তারাও এই গ্রামের ভেতরে প্রবেশ করতে ভয় পাই এখনো পর্যন্ত। 


কয়েক হাজার বছর ধরে এখানে শুধুমাত্র রহস্য ও কালো জাদুর তন্ত্র বিদ্যার ওপর রিসার্চ করা হতো অনেকের মতে মহাভারত থেকে এই মায়াং গ্রামের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে মহাভারতে আমরা জানি ভীমের পুত্র ছিল  ঘঠরগঞ্জ তিনি মায়ুং এর রাজা ছিলেন। সারা বিশ্বে কালো যাদুবিদ্যার উত্থান ঘটেছিল এই মায়াং জনজাতি থেকেই। এই গ্রামের কোনায় কোনায় বেশ কিছু জায়গায় এমন এমন মন্ত্র দিয়ে বাধা আছে যেখানে মানুষ সেই সমস্ত মন্ত্র যদি সিদ্ধিপ্রাপ্ত করে নেয় তবে তিনি একদম সহজে অল্প সময়ের মধ্যে খ্যাতি অর্জন করতে পারবেন তন্ত্রসাধনায়। এছাড়াও আমরা বাংলাদেশে একটি গল্প শুনেছি যে মানুষটি যেকোনো পশুর রূপ ধারণ করতে পারত তাই তিনি তার স্ত্রীকে সেই ম্যাজিক কৌশল দেখানোর জন্য কুমির রূপ ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তার স্ত্রীকে বলে আমার ঘটিতে থাকা জল তুমি আমার শরীরে ছিটিয়ে দিলেই আমি পুনরায় মানুষ হয়ে যাব। কিন্তু তার এই রূপ দেখে তার স্ত্রী ভয় পেয়ে যায় এবং তার হাতে থাকা ঘটির সমস্ত জল মাটিতে ঢেলে দেয় পরবর্তীতে তিনি কুমির রূপেই ওই পদ্মা নদীতে বিরাজমান হয়ে থাকে এবং এক শিকারি এসে যখন তাকে গুলি মেরে হত্যা করে তখন ওই কমিটির নাম অনুসারে ওখানে নাম দেয়া হয় নদের নিমায়ের ঘাট এখনো পর্যন্ত টুরিস্টরা সেখানে আসে ওই ঘাটটিকে দেখার জন্য এবং ওখানে একটি মূর্তি করা রয়েছে মূর্তিটি অর্ধেক মানুষ ও অর্ধেক কুমিরের তিনি এই বিদ্যা অর্জন করেছিল আসামের মায়াং জনজাতি থেকে। 


এখানে একটি ভগবান শিব পার্বতী ও গণেশের এমন একটি মূর্তি রয়েছে যেটা তন্ত্র বিদ্যার জন্য বিশেষ উপযোগী অর্থাৎ সেই মূর্তির সামনে তারা বিভিন্ন ধরনের মন্ত্র উচ্চারণ করে তন্ত্র সাধনা সৃষ্টি করেন সেই মূর্তিটা সাধারন মানুষ কখনোই দেখেনি এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা এমনটাই বলেছেন। এই মায়ান গ্রামটির ভেতর এমন একটি পুকুর রয়েছে যেটি তন্ত্রসাধনার দ্বারা পুকুরের সমস্ত জল বন্ধন করে রাখা হয়েছে। সোনাগাছি সেই পুকুরের জল কখনো শুকায় না এবং কুকুর সম্পূর্ণ থাকে। পুকুরটিতে স্নান করলে আপনাদের শরীরে অসাধারণ শক্তি জাগ্রত করতে পারবেন এমনটাই শোনা গেছে। মায়ান এই গ্রামটিকে Black Majic of India বলা হয়ে থাকে । 



Prokash Durlov

আমার নাম প্রকাশ করলাম আমি একজন প্রফেশনাল ব্লগার | ব্লগিং করি এবং ব্লগিং থেকে যেটুকু অর্থ উপার্জন করি সেটুকু আমার সংসারের কাজকর | আমি ২০১৩ সাল থেকে ব্লগিং করছি ব্লগিং ক্যারিয়ারে অনেক ওঠানামা হয়েছে তবুও আমি ব্লক থেকে ছাড়িনি আজও পর্যন্ত ইন্টারনেটের মাধ্যমে সমস্ত ধরনের ইনফরমেশন দর্শকের সামনে তুলে ধরছি |

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

GP Global